ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ অনুসারে সফটওয়্যারের প্রকারভেদ

এইচএসসি (বিএমটি) ভোকেশনাল - কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন-১ - কম্পিউটার সফটওয়্যারের মৌলিক ধারণা | | NCTB BOOK

ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে সফটওয়্যারকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায় যথা-

১. বাণিজ্যিক সফটওয়্যার 

২. ফ্রিওয়্যার বা ওপেন সোর্স

৩. শেয়ারওয়্যার

চিত্র : ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে সফটওয়্যারের প্রকারভেদ

১. বাণিজ্যিক সফটওয়্যার: মানুষের প্রয়োজনকে উপলব্ধি করে সফটওয়্যার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান সফটওয়্যার তৈরি করে বাজারে তা অর্থের বিনিময়ে বিক্রয় করে। এ সকল সফটওয়্যারকে বাণিজ্যিক সফটওয়্যার বলে । যেমন— মাইক্রোসফট কর্পোরেশন অর্থের বিনিময়ে বাজারে মাইক্রোসফট অফিস বা অন্যান্য সফটওয়্যার বিক্রয় করে থাকে। বাণিজ্যিক সফটওয়্যার কপি করে ব্যবহার করা অনৈতিক কাজ এবং তা আইনত দন্ডনীয়। এ জন্য সকল দেশেই কপিরাইট আইন রয়েছে।

২. ফ্রিওয়্যার বা ওপেন সোর্স : ফ্রিওয়্যার হলো বিনামূল্যে প্রাপ্ত সফটওয়্যার। যে সমস্ত সফটওয়্যার সংগ্রহ ও ব্যবহার করতে হলে সফটওয়্যার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের কোনো অনুমোদন কিংবা রয়্যালটি (Royalty) দিতে হয় না তাকে ফ্রিওয়্যার (freeware) বলে। অন্যভাবে বলা যায়, অনেক প্রোগ্রামার বা প্রতিষ্ঠান তাদের উদ্ভাবিত সফটওয়্যার সর্বসাধারণের ব্যবহারের সুযোগ দেয়, এই সকল সফটওয়্যারকে ফ্রিওয়্যার বলে। যে কেউ ফ্রিওয়্যারের সোর্স কোড পেতে পারে এবং তা উন্নয়ন করে নিজে ব্যবহার কিংবা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে পারে। কাজেই যে কেউ চাইলেই ফ্রিওয়্যার কপি করে ব্যবহার করতে পারে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ফ্রিওয়্যার সংগ্রহ করা যেতে পারে।

৩. শেয়ারওয়্যার: শেয়ারওয়্যার হলো এমন কিছু সফটওয়্যার যেগুলো বিভিন্ন শর্ত সাপেক্ষে সংগ্রহ ও ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে সেগুলোকে শেয়ারওয়্যার বলে। শেয়ারওয়্যার অনেকটা ফ্রিওয়্যারের মতোই, তবে সামান্য রেজিস্ট্রেশন ফি (Fee) এর বিনিময়ে শেয়ারওয়্যার ব্যবহার করা যায়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনেক রকম শেয়ারওয়্যার সংগ্রহ করা যায়। এর উদ্দেশ্য থাকে দু'টি। যথা—

• ক্রেতা যেন সেই সফটওয়্যারটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখে নিতে পারে।

• এরপর ক্রেতা ক্রয় করতে চাইলে কেনার জন্য অর্ডার দিতে পারে।

Content added || updated By
Promotion